• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

জমে উঠেছে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ পাইকারী কাপড় হাট

  • ''
  • প্রকাশিত ৩১ মার্চ ২০২৪

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার পোড়াদহ পাইকারী কাপড়ের হাটের বাজার ঈদকে সামনে রেখে বেশ জমে উঠেছে। পাইকার ও খুরচা বিক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের এই হাটটি। প্রতি বছরের মত এই বছরও নিত্য নতুন ডিজাইনের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসিয়েছে দোকানীরা। ফলে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বাজার। জানা যায়, প্রায় অর্ধ শতাধিক বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহে গড়ে ওঠে পাইকারি কাপড়ের হাট।

সপ্তাহের বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পরপর এই তিনদিন এখানে হাট বসে। বর্তমানে এখানে ৭ শত পাইকারি কাপড়ের দোকান রয়েছে। যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার লোকের। দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম এই পাইকারি পোশাকের বাজার পোড়াদহের কাপড়ের হাট। ঈদ সামনে রেখে দেশের হাজার হাজার পাইকাররা শাড়ী,পাঞ্জাবী, লুঙ্গি, গামছা, বেডসীট, থ্রী-পিচ, দু-পিচ,প্যান্ট-শার্ট পিচসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি পোশাক কিনতে ছুটে আসেন এই হাটে। নিত্য নতুন ডিজাইনের কাপড়ের পাশাপশি দাম কম হওয়ায় দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন তারা।

সুলভ মূল্যে এ সকল পণ্য কিনতে পেরে খুশি পাইকার ও সাধারন ক্রেতারা। বর্তমানে এই হাটে পাইকারি হিসেবে থ্রী-পিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ হাজার টাকা, লুঙ্গি ১৮০ থেকে ৭০০ টাকা, শাড়ী ৩৫০ থেকে ২০০০ টাকা এবং পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ১০০০টাকা পর্যন্ত। এছাড়া অন্যান্য পন্যও হাতের নাগালে পাওয়া যায়। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাদ রাত পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশো কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

হাটে আসা সাধারন ক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এই হাটে ঈদের মার্কেট করতে এসেছি। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে গিয়ে কাপড় দেখছি। যেটা ভালো লাগে সেটা কিনবো। তবে তুলনা মূলক মোটামুটি সকল কাপড় সাশ্রয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

রহিমা খাতুন বলেন, শুনেছি পোড়াদহ হাটে কম দামের কাপড় চোপড় শস্তাই পাওয়া যায়। আমরা এখানে আসি কম দামে কাপড় কেনার জন্য। এখানে অনেক ভালো ভালো কোয়ালিটির কাপড়ও বিক্রি হয়।

যশোরের ঝিকরগাছা থেকে আসা পাইকারি ক্রেতা সাইফুর রহমান বলেন, নিয়মিত পোড়াদহ হাট থেকে আমি পাইকারি মালামাল কিনি। এই হাট থেকে আমি বিভিন্ন আইটেমের থ্রী-পিচসহ অন্যান্য কাপড়-চোপড় কিনেছি। এলাকায় আমার দোকান আছে, সেখানে এগুলো বিক্রি করবো। ভালোই লাভ হয়।

কাপড়ের হাটের ব্যবসায়ী ছালেহা বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, রমজানের অর্ধেকের বেশি চলে গেলেও বেচাকেনা বেশ ভালই হচ্ছে। পোড়াদহ কাপড়ের হাটটি পাইকারি মার্কেট। যার কারণে এক দামে কেনাবেচা হয়। তাতে ক্রেতাদের ঠকার কোন সম্ভাবনা থাকে না। এ জন্য উৎসব মুখরভাবে ম্যাক্সিমাম যারা ক্রেতা, তারা সরাসরি হাটে চলে আসে। পোড়াদহ কাপড়ের হাট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মনি খা বলেন, এই হাটে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। দেশের দূর-দূরান্ত জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা কেনাকাটা করতে আসে। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাদ রাত পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশো কোটি টাকার কাপড় বিক্রি হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads